বিশ্বের ৭২তম দেশ হিসেবে এই সেবা চালু করেছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। এখন থেকে একটি নম্বরেই যেকোনো অপারেটরের সেবা নিতে পারবেন ব্যবহারকারীরা। অর্থাৎ অপারেটর পরিবর্তন করলেও আর মোবাইল নম্বর পরিবর্তন হবে না।
একই নম্বর রেখে কীভাবে বদলাবেন মোবাইল অপারেটর।
বাংলাদেশে মোবাইল নম্বর অপরিবর্তিত রেখে অপারেটর পরিবর্তন করার সুবিধা বা মোবাইল নম্বর পোর্টেবিলিটি (এমএনপি) চালু হয়েছে।
এর ফলে গ্রাহকরা তাদের মোবাইল নম্বর পরিবর্তন না করেই অপারেটর বদল করতে পারবেন।
অর্থাৎ কারও যদি এখন গ্রামীণ ফোনের নাম্বার থাকে তাহলে তিনি তার নম্বর পরিবর্তন না করেই রবি বা বাংলালিংকের ভয়েস ও ডাটা সুবিধা নিতে পারবেন।
গ্রাহক যে অপারেটরের সেবা পছন্দ করবেন বিনা দ্বিধায় সেই অপারেটর বদল করতে পারবেন। এজন্য তার নিজের ফোন নাম্বারটি পাল্টাতে হবেনা।
অপারেটর বদল করতে কি করতে হবে?
একজন গ্রাহক নির্ধারিত ফি প্রদানের মাধ্যমে প্রতিবারের জন্য অপারেটর বদল করতে পারবেন।
আবার একই পদ্ধতিতে তিনি পুরনো অপারেটরের কাছে ফিরেও আসতে পারবেন।
অপারেটর বদলের জন্য গ্রাহকদের নির্দিষ্ট অপারেটরের গ্রাহক সেবা কেন্দ্রে গিয়ে ফি দিয়ে নতুন সিম তুলতে হবে।
সর্বোচ্চ পাঁচ মিনিটের মধ্যে সিম পাওয়া যাবে যদিও সেটি সক্রিয় হতে ৭২ ঘণ্টা পর্যন্ত সময় লাগতে পারে।
তবে কেউ একবার অপারেটর বদল করলে পরবর্তী ৯০ দিনের মধ্যে আর অপারেটর বদলের সুযোগ পাবেন না।
পুরনো অপারেটরে থাকা টাকার কি হবে?
নতুন অপারেটরে গেলে পুরনো অপারেটরে থাকা টাকা কাজে লাগবে না।
তবে তিনি যদি দু’ছরের মধ্যে পুরনো অপারেটরে ফিরে আসেন তাহলে তিনি তার আগের জমা থাকা অব্যবহৃত টাকা ফেরত পাবেন।
ফি’র পরিমাণ কেমন?
বিটিআরসি ও এমএনপি সেবা দাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর দেয়া হিসেব মতে একজন গ্রাহককে অপারেটর বদলের জন্য সর্বোচ্চ ১৫৮ টাকা পর্যন্ত ব্যয় করতে হবে।
বিস্তারিত দেখুন ভিডিওতে
Facebook Comments